একসময় শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীকে গুরুর সাথে থাকতে হত। পড়াশোনা ছাড়াও দিনরাত একসাথে থাকা, কাজ করা থেকে হাতেকলমে শিক্ষালাভ করতে শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে শিক্ষার্থিরা প্রতিস্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হলেও গুরুর বিষয়টি প্রচলিত। যে বিষয়ই হোক না কেন, একজন সত্যিকারের গুরুর তত্বাবধানে থাকলে তার ভাল করার সুযোগ বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে গুরুর প্রয়োজন কোনভাবেই কম না। ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশাল জগত। যারা বছর দশেক ধরে কাজ করেছেন দশ বছর কাজ না করে তার অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সেটাই সেরা সুযোগ।
গুরুর সাথে কাজের সুবিধেগুলি একবার দেখে নেয়া যাক;
. তার দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে পরোক্ষ অভিজ্ঞতা লাভ। বলা হয় মানুষ ভুল করে শেখে। সেই ভুলটা যদি আরেকজন আগেই করে ফেলে এবং সেখান থেকে শেখা যায় তাহলে এরথেকে ভাল আর কি হতে পারে।
. যিনি আগে থেকে কাজ করছেন তিনি একটা যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী করেছেন। সরাসরি সেটা ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায় এভাবেই।
. আপনার কাজ কেমন হচ্ছে সেটা নিজে বিচার করা কঠিন। সকলেই নিজের কাজকে ভাল মনে করছেন। সেখানে অভিজ্ঞ কেউ যদি মত দেন, ভুল ধরিয়ে দেন এবং কিভাবে ভাল করা যায় জানিয়ে দেন তাহলে উন্নতি করা যায় খুব দ্রুত।
. একা শুরু করার সময় আত্মবিশ্বাস একটি বড় ভুমিকা রাখে। কাজটি করতে পারব কি-না, সমস্যা হলে সাহাযড্য পাব কোথায় ইত্যাদি নানা বিষয় ফ্রিল্যান্সারকে ইতস্তত করে। সেখানে নির্ভরযোগ্য কেউ থাকলে নিশ্চিন্তে কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়। এটুকু মনে রেখে যে যদি বড় ধরনের সমস্যাও হয় তাহলেও সমাধান দেয়ার জন্য একজন রয়েছেন।
. যে বিষয়ে কাজ করবেন সেই বিষয়ে নিয়ম মানাই যথেষ্ট হয় না, প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু পদ্ধতি থাকে। দীর্ঘদিন কাজ করে তারা এগুলি তৈরী করে নেন। এগুলি শিক্ষাপ্রতিস্ঠানে শেখা যায় না, বইপত্রে উল্লেখ থাকে না, অথচ খুবই কার্যকর। সরাসরি সেগুলি শিখে নেয়ার সুযোগ থাকে গুরু হিসেবে কাউকে পেলে।
ইচ্ছে করলেই গুরু পাওয়া যায় না। যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন তিনি আর যাই করুন, নিজের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে চান না। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে একজন শিক্ষানবীস রাখলে সে সম্ভাবনাই বেশি। তিনি তখনই আগ্রহ দেখাবেন যখন শিক্ষার্থী তার বোঝা না হয়ে কাজে সহায়ত ভুমিকা পালন করবে।
সহজে গুরু ধরার কয়েকটি পদ্ধতি হতে পারে এমন;
. আর্থিক চুক্তিতে শিক্ষানবিস হোন। আপনি শিক্ষাপ্রতিস্ঠানে যেমন অর্থব্যয় করেন একেও তেমনি শিক্ষাব্যয় হিসেবে ধরে নিন। আপনার কাজ যদি নির্দিষ্ট বিষয়ে হয় তাহলে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।
. প্রতিটি পেশার কিছু ব্যক্তি নিয়ে একটি দল বা সংগঠন তৈরী হয়। সেখানে যোগ দেয়া, নিয়মিত অংশগ্রহনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা থেকে গুরুর অভাব পুরন করতে পারেন।
. অতীতে যিনি শিক্ষক ছিলেন কিংবা বর্তমানে যিনি শিক্ষক তাকে গুরু হিসেবে নেয়া। শিক্ষা কাঠামোর বাইরে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে সেটা সম্ভব।
. কোন একসময় সহকর্মী ছিলেন কিংবা বর্তমানে একসাথে কাজ করছেন এমন কাউকে গুরু হিসেবে নেয়া। যার অভিজ্ঞতা বেশি তিনিই গুরু হিসেবে সাহায্য করতে পারেন।
. ফেসবুক এর মত সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য পাওয়া যাতে পারে। সেখানে নিজের কাজ সম্পর্কে আরোচনা করুন, অন্যের মতামত নিন, একসময় কাজভিত্তিক যোগাযোগ তৈরী হবে।
গুরু ধরার ক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরী, আপনি এমন কাউকে খোজ করছেন যিনি আপনার থেকে বেশি অভিজ্ঞ। দুজনার সম্পর্ক গুরু-শিষ্যের। গুরুর কতটা সময় ব্যয় হচ্ছে সেদিকে প্রতি মুহুর্তে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। তাকে সন্তুষ্ট রাখা শিক্ষার প্রথম ধাপ।
আগেকার দিনের গুরু-শিষ্যের কথা আরেকবার মনে করিয়ে দেই। শিষ্য গুরুর রান্না-কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ করে দিতেন। একজন সত্যিকারের শিষ্যে পরিনত হন তখনই যখন গুরুর জন্য কিছু করতে পেরে খুশি হন। গুরু তার প্রতিদান দেন শিক্ষা দিয়ে।
আর যদি মনে করেন, একবার দেখিয়ে দিলেই শিখে ফেলতাম, শিখে ফেলব এই ভয়ে দেখাল না, তাহলে গুরুর চিন্তা না করাই ভাল। নিজেকে যে যোগ্য মনে করে পথ চলার দায়িত্ব তার নিজের।
আপনার ভিন্নমত বা ভিন্ন অভিজ্ঞতা থাকলে অন্যদের জানাতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়
ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়
- কিভাবে ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জন করবেন
- টাকা কিভাবে হাতে পাবেন
- কিভাবে বেশি কাজ পাবেন
- গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার পদ্ধতি
- ফাইল আপলোড করে উপার্জন
- ডাটা এন্ট্রি করে উপার্জন
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য – ১
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য - ২
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য - ৩
- পেইড টু ক্লিক, পিটিসি
- রিভিউ লিখে আয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- এডসেন্স ব্যবহারের নিয়ম-কানুন
- অন্যের সাইট থেকে উপার্জন
- ই-বুক বিক্রি করে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোথায় পাবেন
- গুগল কাষ্টম সার্চ (এডসেন্স ফর সার্চ) থেকে আয়
- এডসেন্স ব্যবহারের নিয়ম, যে ভুলগুলি করবেন না
- ইমেইল মার্কেটিং
- বই বিক্রি করুন গুগলের সাহায্যে
- ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে ১০টি ভুল ধারনা
- ইন্টারনেটে আয়ের ৫টি সেরা পথ
- ফ্রিল্যান্সার থেকে কিভাবে কাজ পাবেন
- ফটোশপ ডিজাইন বিক্রি করে আয়
- ফেসবুক থেকে আয়
- যে কারনে এডসেন্স ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে সবচেয়ে বড় ভুল
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে সাব-কন্ট্রাক্টর ব্যবহার করে বেশি আয়
- পিটিসি এর অজানা তথ্য
- ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন
- সময় বাচানোর সেরা উপায়
- ক্লায়েন্ট ধরে রাখার জন্য কি করবেন
- এডসেন্স এর বিকল্প বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা চিতিকা
- ওয়ার্ডপ্রেস টেম্পলেট বিক্রি করে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল করার উপায়
- আস্থা অর্জনের ৩ উপায়
- কম সময়ে বেশি কাজ করা
- ফাইলসার্ভে ফাইল আপলোড করে আয়
- ইন্টারনেটে অর্থ আদান-প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতি
- আয় করুন ই-বে থেকে
- ভার্চুয়াল এসিষ্টেন্ট ব্যবহার করে বেশি কাজ করা
- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি কখন ব্যর্থ
- কিভাবে বাস্তবসম্মত লক্ষ্য স্থির করবেন
- ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভাল দিক-মন্দ দিক
- ফ্রিলান্সিং পরিকল্পনার ৩ ধাপ
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে নিজেকে প্রফেশনাল হিসেবে তুলে ধরা
- ফ্রিল্যান্সার হতে চান ? নিজেকে প্রশ্ন করুন
- সাফল্যের ৪ সুত্র
- টাকা আয় করুন রিভিউ-মি তে রিভিউ লিখে
- ফ্রিল্যান্সারের প্রধান ৫ সমস্যা এবং সমাধান
- আউটসোর্সিং-ক্রাউসসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়
- ইমেইল মার্কেটিং এ কুশলী হোন
- অনলাইন আয়ের জন্য অফলাইন প্রচার
- ফ্রিল্যান্সিং : গুপ্তধন খুজুন
- ইনবাউন্ড মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং ভাল করার কিছু নিয়ম
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে মুল্য নির্ধারন
- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কেন ফ্রি কাজ করবেন না
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে কর্মদক্ষতা বাড়ানোর ১০ কৌশল
- ফ্রিল্যান্সারের ১০ ভয়
- কিভাবে লেখক হবেন
- ফ্রিল্যান্সিং বা ছোট ব্যবসা কেন পছন্দ করবেন
- ফ্রিল্যান্সারের মেধা এবং যোগ্যতা
আপনি হবেন আমার গুরু? আমি নতুন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে সাধারন জ্ঞান আছে বলেই মনে করি। কিন্তু যথাযথ তথ্য এবং দিকনির্দেশনার অভাবে উদসাহ ারিয়ে ফেলি। আমি ফটোশপ সিখছি। সিখার পর কি আয় করতে পারব? য়া করে জানাবন।
ReplyDeleteফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইটের সদস্য হন এবং কাজের চেষ্টা করুন। আয় হলে উতসাহ আরো বাড়বে, আয় না হলেও একে হাতেকলমে শেখার পদ্ধতি হিসেবে মনে করুন। সফল না হওয়ার কোন কারন নেই।
ReplyDelete