Saturday, November 19, 2011

ফ্রিল্যান্সার যেভাবে নিজের ক্ষতি করেন

ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করা সহজ না। প্রস্তুতি নিতেই বেশ সময় চলে যায়। এরপর যোগাযোগ বাড়ানো, কাজের যায়গা খোজা, নিজের পরিচিতি বাড়ানো। এরপর ক্লায়েন্টর কাছে কাজ নেয়া এবং সেজন্য সঠিক পারিশ্রমিক পাওয়া। পুরো কাজটিই করতে হয় নিখুত হিসেব করে। কাজেই সেখানে ভুল করার সুযোগ খুবই বেশি। উল্লেখ করা হয়থ প্রয়োজন নেই ফ্রিল্যান্সিং কাজে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত বেশি। কাজ যেমন বাড়তে তেমনি দ্রুতহারে ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যাও বাড়ছে। কাজেই ক্রমাগত ভুল করে যাওয়ার সুযোগ নেই।
কিভাবে ভুলগুলি এড়াতে পারেন সে বিষয়ে আলোকপাত করা হচ্ছে এই লেখায়।
.          সময়মত কাজ না করা
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সারের লোগো বা গ্রাফিক ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তাহলে হয়ত জানেন সেখানে কাজ কিভাবে হয়। প্রতিযোগিতার সাধারন নিয়ম হচ্ছে সবচেয়ে ভাল বিষয়টি বেছে নেয়া। এখানে নিয়ম কিছুটা ভিন্ন। যিনি কাজ করাচ্ছে তিনি নিজের বিশেষ প্রয়োজনে সেটা করছেন, কাজেই তিনি সবচেয়ে ভাল আর্ট দেখে বেছে নেন না। যারা অংশগ্রহন করেন তাদের মধ্যে যে কাজ তার চাহিদার কাছাকাছি তারসাথে যোগাযোগ করে কোথাও কোথাও পরিবর্তণ করতে বলেন। সেটা মনের মত হলে তাকে পুরস্কার দেন।
ক্লায়েন্টের দিক থেকে বিষয়টি দেখুন। তিনি যোগাযোগ করবেন ব্যক্তিগতভাবে, পাবলিক ক্লারিফিকেশন বোর্ডে না। কেবলমাত্র আপনিই সেটা দেখার সুযোগ পাবেন। আপনার প্রধান দায়িত্ব যত দ্রুত সম্ভব তার চাহিদা পুরন করে নতুন ডিজাইন জমা দেয়া। যদি দেরী করেন তিনি বিরক্ত হবেন এবং অন্য কারো দিকে দৃষ্টি দেবেন।
ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় শত্রু সময়মত কাজ না করা। আপনার কাজ খুব ভাল না হলে তিনি ধরে নেবেন আপনি এখনও দক্ষ হননি, অভিজ্ঞতা বাড়লে ভবিষ্যতে হবেন। যদি সময়মত কাজ না করেন বা উত্তর না দেন তিনি ধরে নেবেন আপনি সময়ের এবং কাজের গুরুত্ব বোঝেন না। তিনি কখনোই আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন না।
.          নির্দেশ ঠিকমত অনুসরন না করা
যারা নিয়মিত কাজ করেন তারা অনেক সময়ই ক্লায়েন্টে বক্তব্য ঠিকভাবে পড়ে দেকা প্রয়োজনবোধ করেন না। যে যায়গাগুলি মুল সেদিকে দৃষ্টি দেন। বাস্তবতা হচ্ছে, তিনি এমন কোন নির্দেশ দিতে পারেন যা বাকি সবকিছু পাল্টে দিতে পারে। যেমন তিনি হয়ত বলেছেন নিল-সবুজ রং তিনি পছন্দ করেন, আরেক যায়গায় একটি কালার কোড দিয়েছেন। কালার কোড দেয়ার অর্থ আপনাকে সেটাই ব্যবহার করতে হবে, এর কাছাকাছি অন্য কোন রং তিনি গ্রহন করবেন না।
কাজেই, ক্লায়েন্ট যা বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলি ভালভাবে পড়ুন। প্রয়োজনে একাধিকবার পড়ে প্রতিটি শব্দের অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন। এরপর কাজে হাত দিন।
.          সময়ের সাথে তাল না রাখা
ফ্রিল্যান্সারের কাছে ক্লায়েন্ট দক্ষতা আশা করেন। আপনি হয়ত ১০ বছর ধরে ফটোশপে কাজ করছেন। স্বাভাবিকভাবেই আপনার ধারনা আপনি অত্যন্ত দক্ষ। এমনকি এই আত্মবিশ্বাসের কারনে নতুন ভার্শনে কি আছে দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি।
বাস্তবতা হচ্ছে, বর্তমান প্রযুক্তি প্রতি মুহুর্তে পাল্টায়। নতুন ভার্শনে এমন কিছু ফিচার যোগ করা হয়েছে যা আপনি জানেন না কাজেই ব্যবহারের কথাও আপনার মাথায় আসে না। যিনি সেকাজ করছেন তিনি প্রাধান্য পাবেন এবং আপনি ক্রমশ পিছিয়ে পড়বেন।
কারেন্ট ট্রেন্ড বলে একটি কথা অত্যন্ত প্রচলিত। বর্তমানে যেদিকে মানুষের ঝোক বেশি আপনাকে সেটা থেকে শিখে নিতে হবে এবং তারসাথে মানানসই কাজই দিতে হবে। আপনি যে ডিজাইন করছেন সেটা শিল্পকর্ম না, ব্যবসা। কাজেই সেটা কত সুন্দ হয়েছে সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে কতটুকু কাজের উপযোগি হয়েছে সেদিকে দৃষ্টি দিন।
  
ফ্রিল্যান্সিং কাজে সম্ভাবনা অফুরন্ত যদি তাকে ঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়। একে ব্যবসার দৃষ্টিতে দেখুন। ক্লায়েন্ট আপনার ক্রেতা, তারকাছে সেবা বিক্রি করাই আপনার আপনার দায়িত্ব। কেবলমাত্র বিক্রি হলে আপনার লাভ।

ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়

No comments:

Post a Comment