সব গ্রাফিক ডিজাইনারই কমবেশি ক্রিয়েটিভ। তারপরও কারো কারো পরিচিতি ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার হিসেবে। কাজেই পার্থক্য একেবারেই নেই এমন না। বিষয়টি লেখার সাথে তুলনা করতে পারেন, একজন লেখক অন্যের লেখা অনুবাদ করছেন তিনি অনুবাদ হিসেবে নিজের নাম লিখছেন। আরেকজন অন্য ভাষার লেখাকে নিজের ভাষাঙ আনছেন সেইসাথে চরিত্রে কিছু পরিবর্তন আনছেন, তিনি নিজেকে লেখক বলেই দাবী করছেন। আর যিনি মুল লেখক, পরিকল্পনা, চরিত্র, ঘটনাপ্রবাহ সবকিছু যার মাথা থেকে এসেছে তিনি নিশ্চয়ই ক্রিয়েটিভ লেখক। কারন তিনি সৃষ্টি করেছেন।
গ্রাফিক ডিজাইনের ক্ষেত্রে এটা সবসময়ই ঘটে। বহু ডিজাইনার ষ্টকআর্ট ব্যবহার করেন নিজের ডিজাইনে। এগুলো বিনামুল্যে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যায়, কখনো কখনো টাকা দিয়ে কিনতে হয়। যেভাবেই হাতে পান না কেন, সেগুলো সৃষ্টি করেছে আরেকজন। আপনি যখন সেটা ব্যবহার করছেন তখন আপনার ডিজাইন যত সুন্দরই হোক না কেন, আপনি ডিজাইনার, ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার নন।
অন্যদিকে আপনাকে কেউ কোম্পানীর লোগো তৈরী করতে দিয়েছে, আপনি সেই কোম্পানীর বক্তব্য ফুটিয়ে তুলে নতুন কিছু তৈরী করলেন। আপনি ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার।
বাস্তব দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি দেখা যাক। আপনি ইন্টারনেটে লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। ধরুন ফ্রিল্যান্সারে। কোন ব্যক্তি বা কোম্পানী তাদের লোগো তৈরীর জন্য ৫০০ ডলার দেবেন। আপনি ষ্টকআর্ট থেকে মানানসই সুন্দর কিছু খুজে বের করে লোগো তৈরী করে দিলেন এবং ৫০০ ডলার পেতে আশা করলেন।
আপনি সেটা পাবেন না। যিনি লোগোর জন্য ৫০০ ডলার খরচ করেন তিনি ষ্টকআর্ট এবং ক্রিয়েটিভ আর্টের পার্থক্য বোঝেন। এমনকি আপনি ১৫ মিনিটে কিছু করে তাক লাগিয়ে দেবেন এমনটা আশা করাও বোকামি। সেটাও তিনি বুঝবেন। যদিও ক্রিয়েটিভ বিষয়টা এমন না যে আপনাকে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করতে হবে। খুব সামান্য সময়েই আপনি ক্রিয়েটিভ কিছু করে ফেলতে পারেন। অন্যকথায় ক্রিয়েটিভ বলতে জটিল হতে হবে এমন কথা নেই, একেবারে সরল কিছুও ক্রিয়েটিভ হতে পারে। বিশ্বখ্যাত লোগোগুলির দিকে একবার দৃষ্টি দিলে আপনি সেটা দেখতে পান।
যারা এধরনের কাজে অর্থ দেন তারা কেউ ক্রিয়েটিভিটির দিকে বেশি দৃষ্টি দেন, কেউ অর্থের বিষয়টিও মাথায় রাখেন। আপনি কয়েক মিনিট কাজ করে তার টাকা নেবেন সেটা অনেকেই পছন্দ করেন না।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর যত কাজ সব যায়গাতেই তারা ক্রিয়েটিভিটি আশা করেন। যারা কাজ করেন বা করতে আগ্রহি তাদের বিষয়টি মনে রাখাই ভাল, ষ্টক আর্ট যত কম ব্যবহার করবেন ভাল করার সুযোগ তত বেশি। এমনকি সাধারন টেক্সট ব্যবহার করার সময় তাকে ভেক্টরে পরিনত করুন, তারপর সেখানে ক্রিয়েটিভ কিছু করে দেখান, এটাই ক্লায়েন্ট আশা করে।
আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করতে আগ্রহি হন তাহলে কাজ শেষ করার পর আরেকবার সেদিকে দৃষ্টি দিন। সেটা দেখে কি মনে হচ্ছে ষ্টকআর্ট ব্যবহার করা ?
যদি মনে হয় তাহলে কাজটি নতুনভাবে করুন। যদি এখনও একাজে দক্ষ না হন তাহলে দক্ষতা বাড়ান। কাগজের ডিজাইন দেখে কিভাবে সেটা কম্পিউটারে তৈরী করা যায় অভ্যেস করুন।
ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়
ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়
- কিভাবে ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জন করবেন
- টাকা কিভাবে হাতে পাবেন
- কিভাবে বেশি কাজ পাবেন
- গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার পদ্ধতি
- ফাইল আপলোড করে উপার্জন
- ডাটা এন্ট্রি করে উপার্জন
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য – ১
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য - ২
- গুগল এডসেন্সর এর অজানা তথ্য - ৩
- পেইড টু ক্লিক, পিটিসি
- রিভিউ লিখে আয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- এডসেন্স ব্যবহারের নিয়ম-কানুন
- অন্যের সাইট থেকে উপার্জন
- ই-বুক বিক্রি করে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ কোথায় পাবেন
- গুগল কাষ্টম সার্চ (এডসেন্স ফর সার্চ) থেকে আয়
- এডসেন্স ব্যবহারের নিয়ম, যে ভুলগুলি করবেন না
- ইমেইল মার্কেটিং
- বই বিক্রি করুন গুগলের সাহায্যে
- ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে ১০টি ভুল ধারনা
- ইন্টারনেটে আয়ের ৫টি সেরা পথ
- ফ্রিল্যান্সার থেকে কিভাবে কাজ পাবেন
- ফটোশপ ডিজাইন বিক্রি করে আয়
- ফেসবুক থেকে আয়
- যে কারনে এডসেন্স ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে সবচেয়ে বড় ভুল
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে সাব-কন্ট্রাক্টর ব্যবহার করে বেশি আয়
- পিটিসি এর অজানা তথ্য
- ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন
- সময় বাচানোর সেরা উপায়
- ক্লায়েন্ট ধরে রাখার জন্য কি করবেন
- এডসেন্স এর বিকল্প বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা চিতিকা
- ওয়ার্ডপ্রেস টেম্পলেট বিক্রি করে আয়
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল করার উপায়
- আস্থা অর্জনের ৩ উপায়
- কম সময়ে বেশি কাজ করা
- ফাইলসার্ভে ফাইল আপলোড করে আয়
- ইন্টারনেটে অর্থ আদান-প্রদানের বিভিন্ন পদ্ধতি
- আয় করুন ই-বে থেকে
- ভার্চুয়াল এসিষ্টেন্ট ব্যবহার করে বেশি কাজ করা
- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি কখন ব্যর্থ
- কিভাবে বাস্তবসম্মত লক্ষ্য স্থির করবেন
- ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভাল দিক-মন্দ দিক
- ফ্রিলান্সিং পরিকল্পনার ৩ ধাপ
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে নিজেকে প্রফেশনাল হিসেবে তুলে ধরা
- ফ্রিল্যান্সার হতে চান ? নিজেকে প্রশ্ন করুন
- সাফল্যের ৪ সুত্র
- টাকা আয় করুন রিভিউ-মি তে রিভিউ লিখে
- ফ্রিল্যান্সারের প্রধান ৫ সমস্যা এবং সমাধান
- আউটসোর্সিং-ক্রাউসসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায়
- ইমেইল মার্কেটিং এ কুশলী হোন
- অনলাইন আয়ের জন্য অফলাইন প্রচার
- ফ্রিল্যান্সিং : গুপ্তধন খুজুন
- ইনবাউন্ড মার্কেটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং ভাল করার কিছু নিয়ম
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে মুল্য নির্ধারন
- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কেন ফ্রি কাজ করবেন না
- ফ্রিল্যান্সিং কাজে কর্মদক্ষতা বাড়ানোর ১০ কৌশল
- ফ্রিল্যান্সারের ১০ ভয়
- কিভাবে লেখক হবেন
- ফ্রিল্যান্সিং বা ছোট ব্যবসা কেন পছন্দ করবেন
- ফ্রিল্যান্সারের মেধা এবং যোগ্যতা
No comments:
Post a Comment