Saturday, October 1, 2011

ফ্রিল্যান্সিং শুরুর সমস্যাগুলো সমাধান করুন অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে


ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা সবচেয়ে কঠিন ধাপ। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সিদ্ধান্তহীনতা। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ভাল করব কিনা, কাজ পাব কিনা, কাজ করে টাকা পাব কিনা এধরনের বিষয়গুলি সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা সৃষ্টি করে। যোগাযোগ শুরুর পর সাথেসাথে সাফল্য না পেয়ে মনে হয় এ সম্পর্কে অতিরিক্ত বলা হয়েছে।
কেউ যদি বলে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলেই কাজ পেতে থাকবেন, সাথে অর্থ আসতে শুরু করবে তাহলে হয়ত অতিরিক্ত বলা হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংকে অন্য কাজ বা চাকরী থেকে সহজ মনে করার কোন কারন নেই, বরং বিপরীত। এখানে আপনাকে বিশেষভাবে নিজের মেধা এবং দক্ষতার পরিচয় তুলে ধরতে হয়। যদি কাজ শুরু করে সফলতা না পান এবং হতাসা বোধ করেন তাহলে জেনে রাখুন, এটা প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা। কোন প্রিল্যান্সারই কাজে হাত দিয়ে সাথেসাথে সফল হননি। এদের অনেকে যুগ পার করে দিয়েছেন এবং এখন বর্তমানে এমন অবস্থানে রয়েছেন যারফলে ফ্রিল্যান্সিং এর বাইরে অন্যকিছু ভাবেন না। তাদের অভিজ্ঞতাকে নিজের কাজে লাগাতে পারেন।
.          লক্ষমাত্রা কমিয়ে আনুন
কেউ যখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তখন নিজের সম্পর্কে এমন ধারনা পোষন করেন যেন নিশ্চিত সাফল্য অপেক্ষা করছে। লেখালেখি কিংবা গ্রাফিক ডিজাইনের কথা বিবেচনা করুন। আপনি আপনার কাজ নিয়ে এতটাই সন্তুষ্ট যে ধরে নিলেন ক্লায়েন্ট সেটার প্রশংসা করবে। সেটা না পাওয়ায় বিরক্ত হলেন।
নিজেকে যতটা দক্ষ ভাবছেন ততটা না ভেবে ক্লায়েন্ট যারকাছে কাজ করাচ্ছেন সেটা লক্ষ্য করুন। ঠিক কোন কারনে তাকে আপনার থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে জানার চেষ্টা করুন। সহজ সমাধান হচ্ছে, আরো কম টাকার কাজ, আরো সহজ কাজ করার দিকে দৃষ্টি দিন। হয়ত ভাবতে পারেন অত ছোট কাজ করার সময় আগেই পেরিয়ে এসেছেন। সেটা ভুল পথ। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার প্রতিযোগি সারা বিশ্বে। তারাও আপনার মতই নিজেকে সেরা ভাবতে পারে। এদের কেউ কেউ অবশ্যই অত্যন্ত মেধাবী।
ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল করার প্রথম ধাপ, একেবারে সহজ কাজে হাত দিন। সামান্য টাকার কাজ হলেও।
.          ব্যবসা গড়ে তুলুন
ছোট কাজ দিয়ে শুরু করার অর্থ আপনি নিশ্চিত কাজ পাবেন। যাদের সাথে কাজ করছেন তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। হয়ত তাদের কাছে সবসময়ই কম অর্থের কাজ পাবেন, তারপরও আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন এই ভেবে যে কখনো আপনাকে কাজ ছাড়া বসে থাকতে হচ্ছে না।
ফ্রিল্যান্সিং এ সফলতার দ্বিতীয় ধাপ, নিয়মিত কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকুন। পরিচিতি বাড়ান।
.          বিস্বস্ততা অর্জন করুন
যার কাজই করুন, তিনি যে সময়ে চান সেই সময়ে করে দিন, যেভাবে চান সেভাবে পরিবর্তন করে দিন। কাজটি তার, অর্থ তার, কাজেই তার বক্তব্যই সবকিছু। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে আপনি তার কাজে সহায়তা করছেন, নিজের কাজ করছেন না।
ফ্রিল্যান্সিং এ সফলতার অন্যতম বৈশিষ্ট, ক্লায়েন্টের বিশ্বাস অর্জন করুন।
.          সঠিক যায়গায় কাজ খুজুন
আপনি কাজের জন্য যেখানে যোগাযোগ করছেন সেটা কি সবচেয়ে ভাল যায়গা বলে মনে করছেন ? এমন হতে পারে আরো ভাল কোন যায়গা রয়েছে যেখানে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, নিয়ম সহজ। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজে সহযোগিতা করার মত ওয়েবসাইট রয়েছে অনেক। নিয়মিতই আরো নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরী হচ্ছে। মাঝেমাঝে সার্চ করে নতুন সাইটে একবার চোখ বুলিয়ে নিন।
ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার গুরুত্বপুর্ন দিক, নিয়মিতভাবে কিছু সময় ইন্টারনেট ব্রাউজিং কাজে ব্যয় করুন। নতুন কোন সাইট, নতুন কোন তথ্য আপনার কাজ সহজ করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে কোন যাদুর কাঠি নেই। এর পুরোটাই চেষ্টা এবং পরিশ্রমের ফল। শুরু করেই সাফল্য পাবেন এটাই বরং ভুল ধারনা। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলি (ও-ডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি) নানা ধরনের তথ্য দিয়ে সাহাড্য করে। লক্ষ্য করলে দেখবেন সেখানে বলা হয়েছে প্রথম কাজ পাওয়াই সবচেয়ে কঠিন। এজন্য মাসদুয়েক সময়ও লাগতে পারে।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার যদি ভিন্ন অভিজ্ঞতা বা মত থাকে জানাতে পারেন অন্যদের।

ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়

No comments:

Post a Comment