Friday, November 25, 2011

ক্রিয়েটিভিটির প্রধান শত্রু

ফ্রিল্যান্সিং এর মুল চালিকা ক্রিয়েটিভিটি। একটি উন্নত দেশ দরীদ্র দেশের মানুষের দিকে হাত বাড়ায় একটামাত্র কারনে, ক্রিয়েটিভিটির খোজে। সাধারনভাবে অনেকেই ধরে নেন অর্থ ব্যয় করলেই যে কেনি বিদ্যায় শিক্ষিত করা যায়। সেটা সত্য হলে কোন দরীদ্র দেশের মানুষই ধনী দেশে মেধার পরিচয় দেয়ার সুযোগ পেতেন না। তারা অর্থ ব্যয় করে নিজের দেশেই মেধা তৈরী করে নিত।
ক্রিয়েটিভিটি পরিমাপ করার সহজ ব্যবস্থা নেই। একে কল্পনাশক্তি হিসেবে দেখা যেতে পারে। সারা বিশ্বের শিশুর হাতেখড়ি হয় ছবি আকা শেখানোর মধ্য দিয়ে। মুল কারন একটাই, তার কল্পনাশক্তি বাড়ানো। চেষ্টা করে একে খুব বাড়ানো যায় কিনা সেটা বিতর্কিত তবে একে ভোতা করা যায় সহজেই। দুনিয়ার সমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করলে ভোতা হয়, এই অস্ত্র যত ব্যবহার করা হয় তত ধারালো হয়। কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে বলেন বাঙালীর মস্তিস্ক সবচেয়ে টাটকা কারন সেটা আদৌ ব্যবহার করা হয় না।
বেশকিছু প্রত্যক্ষ কারনে ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হয়। একজন শিশু যখন ক্রমাগত প্রশ্ন করতে থাকে  তখন তাকে সহায়তা করলে কার কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি পায়, আর বাধা দিলে কল্পনাশক্তি বাধাগ্রস্থ হয়। একসময় সে সামনের সবকিছু নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তারপক্ষে নতুন কিছু ভাবা সম্ভব হয় না। ফ্রিল্যান্সারের কাজের সাথে সম্পর্কিত এবং ক্রিয়েটিভিটির জন্য ক্ষতিকর এধরনের কিছু বিষয় নিয়ে এই লেখা।
.          পরিবারের প্রভাব
মনস্তত্ববিদ ফ্রয়েড তার গবেষনা থেকে বলেছেন মানুষ তার মৌলিক বৈশিষ্ট লাভ করে জীবনের প্রথম ৫ বছরে। অর্থাত শিশুকালে সে যে পরিবেশে থাকে সেটাই শেখে। পরবর্তীকালে এই বৈশিষ্টের খুব পরিবর্তণ হয় না। একারনেই উন্নত সমাজব্যবস্থায় শিশুদের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয়। এই সময়ে একজন শিশুর কাছাকাছি থাকার কথা অভিভাবক এবং পরিবারের অন্যান্যদের। এমনকি ৫ বছরের পরও পরবর্তী বছরগুলিতে তাদের ভুমিকাই মুখ্য। অভিভাবক যদি সচেতন না থাকেন তাহলে শিশুর চিন্তা করার ক্ষমতা বা ক্রিয়েটিভিটি বাধাগ্রস্থ হয়। একারনে যে অভিভাবক শিশুদের জন্য বেশি সময় দেন তারা পরবর্তীকালে সবকাজে ভাল করে।
.          শিক্ষাব্যবস্থা
পরিবারের পর শিশুর পরবর্তী গন্তব্য শিক্ষাপ্রতিস্ঠান। সেখানে শিক্ষক এবং সহপাঠিদের সাথে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় তার চিন্তা করার পদ্ধতি গড়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই শিশু যদি দেখে শিক্ষক অর্থের লোভে ছাত্রকে কোচিংএ বাধ্য করছে সেই শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুর মঙ্গল বয়ে আনে না। এই শিশু যখন বড় হয় তখন সে বিকৃত চিন্তার দিকেই যায়।
ছাত্রাবস্থায় বাস্তব কাজের সাথে পরিচিত করানো শিক্ষার বড় একটি অংশ। একজন প্রাফিক ডিজাইনারকে যখন শেখানো এখান থেকে ওখান থেকে ছবি জোড়া দিয়ে ডিজাইন করতে হয় তার চিন্তা সীমিত হয়ে পড়ে সেখানেই। 
.          সমাজ
শিক্ষাজীবন শেষে যখন বাস্তবে পা রাখে কিংবা শিক্ষাবস্থায় বাস্তব জীবনের প্রস্তুতি নেয় তখন সমাজ বড় ধরনের ভুমিকা রাখে ক্রিয়েটিভিটির ওপর। যে সমাজে নতুন কিছু আবিস্কার হয় সেখানে মানুষের আগ্রহ তৈরী হয় নতুন কিছু করার, যে সমাজে নকল কিংবা অনুকরন করার প্রবনতা থাকে সেখানে তাদের চিন্তাশক্তিও সীমিত থাকে অন্যের অনুকরন করার। এক দেশের সাথে অন্য দেশের তুলনা করে অনায়াসে বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেন।
বাংলাদেশের বাস্তবতা অত্যন্ত করুণ। সিনেমা-টিভি নাটকের প্রায় সমস্ত মিউজিক ব্যবহার করা হচ্ছে চুরি করে। মানুষ ধরে নিচ্ছে এটাই পদ্ধতি। সৃষ্টিশিলতার কদর নেই, ফলে সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। পাইরেসি শব্দটি অপরিচিত। সমাজ যদি স্থানীয়ভাবে কাজের সুযোগ তৈরী না করে তাহলে কখনোই দক্ষ কর্মী তৈরী হয় না।
বাংলা-টিউটর সাইটে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়কে উতসাহিত করা হয়। সেকারনে বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার সময় অন্যের মিউজিক, ছবি, ক্লিপআর্ট এগুলি কোনটিই ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না। সমাজ যদি এই চেতনা তৈরী না করে তাহলে বাস্তব কাজে নেমে হাবুডুবু খেতে হবে।

আপনি কি করতে পারেন ?
প্রশ্ন করা স্বাভাবিক, আপনি কি করতে পারেন। আপনি ছোটবেলায় ফিরতে পারেন না, অভিভাবককে বদল করতে পারেন না, শিক্ষা ব্যবস্থা বা সমাজ বদল করতে পারেন না।
আশার কথা, পরবর্তীকালে নিজের চেষ্টায় ভাল করার উদাহরন খুব কম নেই। রবীন্দ্রনাথ ছবি আকতে শুরু করেছিলেন শেষ বয়সে এবং শিল্পী হিসেবে অত্যন্ত উচুমানের পরিচয় দিয়েছিলেন। গ্যালিলিও ডাক্তার হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছিলেন, একসময় মনে করলে ডাক্তারী তারজন্য মানানসই না। তিনি অংকে পড়াশোনা করলেন এবং শীর্ষ বিজ্ঞানী হলেন। ছোটবেলায় নিউটন এতটাই খারাপ ছাত্র ছিলেন যে তার মা তাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে দেয়ার কথা ভেবেছিলেন।
সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়াই মুল কথা। বিল গেটস ১৯ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে মাইক্রোসফট প্রতিস্ঠা করেন, একে পড়াশোনা ছেড়ে ব্যবসা শুরু হিসেবে দেখা ভুল। বরং তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকেও বড় শিক্ষার দিকে গেছেন। যেখানে তাকে আরো বেশি জ্ঞানার্জন করতে হয়েছে এবং বাস্তবতার সাথে মিল রেখে পরিশ্রম করে যেতে হয়েছে। এমন কাজ করতে হয়েছে যা আগে কেউ করেনি।
মানুষের সবকিছুই নিয়ন্ত্রন করে মস্তিস্ক। এবং একে নিজের প্রয়োজনে ধারালো করা যায়। সঠিক সিদ্ধান্ত এবং  চর্চ্চা করাই বিষয়।
যদি কোন কারনে আপনার মনে হয় ক্রিয়েটিভিটি বা অন্য কোন বিষয়ে আপনি অন্যের থেকে পিছিয়ে আছেন, আপনার প্রয়োজন সেটা পুরন করার জন্য আরো বেশি চেষ্টা। যার চেষ্টা যত বেশি তার সাফল্য তত বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়


ব্লগিং এবং ইন্টারনেট


ওয়ার্ডপ্রেসে বিনামুল্যের ব্লগ তৈরী
কিভাবে ইমেইল একাউন্ট তৈরী করবেন
 ব্লগার বনাম ওয়ার্ডপ্রেস
ওয়ার্ডপ্রেসে বাংলা ব্যবহার
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, এসইও
বিনামুল্যের ওয়েব হোষ্টিং
ব্লগিং থেকে আয়ের মুলমন্ত্র
ফ্রিল্যান্স রাইটারদের সেরা ১০ ব্লগ
ব্লগ লিখুন হলিউড ষ্টাইলে
ব্লগারে কাষ্টম থিম ব্যবহার
ভাল ব্লগার হওয়ার ৭ উপায়
ভাল ব্লগার বনাম ভাল ভিজিটর
কেন নিজস্ব ব্লগ তৈরী করবেন
বিনামুল্যের ব্লগিং এর জন্য উইবলি
ব্লগারে বাংলা ব্লগ তৈরী
বেশি ভিজিটর পাওয়া এবং ভিজিটর ধরে রাখার উপায়
এডসেন্স ব্যবহার করতে চান ? গুগলের গাইডলাইন মেনে চলুন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সময় যে নিয়ম মেনে চলবেন
ব্লগার ব্লগকে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্যবহার 
ফ্রিল্যান্সারের সাধারন কিছু নিয়ম 
ব্লগ টাইটেলের ৫ খারাপ উদাহরন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সাবমিট-ষ্টার্ট ব্যবহার করুন
টাকা আয় করুন আমাজন থেকে
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অটো রেসপন্ডার ব্যবহার
এফিলিয়েট মাকেটিং এর জন্য লিংকশেয়ার 
এফিলিয়েট মার্কেটি সাফল্যের ৫ সুত্র
পেইড ব্লগ রিভিউ এর ভাল-মন্দ 
গুগলের নিষেধাজ্ঞা এড়াবেন কিভাবে  
যে ১০ কারনে গুগলে সাইট র‌্যাংকিং বাড়ানো হয় 
প্রচারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
ওয়েব ডিজাইনের মুলনীতি ঠিক রাখুন 

No comments:

Post a Comment