Monday, January 9, 2012

ইন্টারনেটে আয় কতটা সহজ কতটা কঠিন

ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে একটি কথা প্রায়ই বলা হয়, সহজে ঘরে বসে আয়। অনেক সময় আরো নির্দিস্ট করে বলা হয় দিনে কিছু সময় ব্যয় করে হাজার ডলার আয় করুন। ফলে একধরনের ধারনা তৈরী হয়ে গেছে। অনেকেই ধরে নেন কাজে হাত দিলেই সাথেসাথে টাকা আসতে শুরু করবে। একে ভুল ধারনা বলতে পারেন কারন হাজার ডলার আয় করার কাজটি সহজ না। 
আবার বিপরীতভাবে কাজে হাত দিলে সাথেসাথে টাকা আসতে শুরু করে একথাও ঠিক। কতটা সহজে কি পরিমান আয় করা বাস্তবসম্মত, হাজার ডলার আয়ের জন্য কতটা সময়, শ্রম, মেধা ব্যয় করতে হয় এবিষয়ে কিছুটা ধারনা পেতে পারেন এই লেখা থেকে।


পিটিসি : খুব সহজ এবং খুব কঠিন
ক্লিক করলেই টাকা পাবেন, যত ক্লিক তত টাকা এভাবেই প্রচার করা হয় পিটিসির। কাজটি অত্যন্ত সহজ। পিটিসি সাইটে গিয়ে তাদের সদস্য হবেন (বিনামুল্যে)। এরপর তাদের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিস্ট লিংকে ক্লিক করবেন। লিংক অনুযায়ী আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। লিংকগুলি মুলত বিজ্ঞাপনের। যারা বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনি ক্লিক করলে যে টাকা পাবেন তার বিনিময়ে তাদের বিজ্ঞাপন দেখবেন। এটুকু কাজ খুব সহজ। যদি এভাবে যথেষ্ট পরিমান আয় করতে চান তাহলে কঠিন বিষয় শুরু হয়।
বেশি আয়ের শর্তগুলি জেনে নিন। ধরুন ক্লিকসেন্সে আপনি সদস্য হলেন। আপনি দিনে কোন ধরনের কতগুলি ক্লিক করার সুযোগ পাবেন বিষয়টি অনেকগুলি শর্তের ওপর নির্ভর করে (এবিষয়ে বিস্তারিত রয়েছে এখানে)। সাধারনভাবে আপনি ১৫ থেকে ৩০টি ক্লিক করার সুযোগ পাবেন। এভাবে আপনার আয় হবে বড়জোর মাসে ৫ ডলার। আপনি যদি এধরনের ১০টি সাইটের সদস্য হন তাহলে সর্বোচ্চ ৫০ ডলার আয় করতে পারেন।
যদি অন্যকে সদস্য করে দিতে পারেন (বিনামুল্যের) তাহলে তিনি ক্লিক করলে তার ভাগও পাবেন। যতজনকে সদস্য করবেন আপনার আয় তত বেশি। বাস্তবে যদি ব্লগ/ওয়েবসাইট/ফেসবুক/ইমেইল ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনি শতশত সদস্য সংগ্রহ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের মাধ্যমে আয় আপনার নিজের আয়ের বহুগুন বেশি হবে। কাজটি সহজ না নিশ্চয়ই। আপনাকে জনপ্রিয় ব্লগ বা বহু ফলোয়ার সহ ফেসবুক একাউন্ট রাখতে হবে।
আরেকভাবে আয় বাড়ানো যায়। আপনি টাকা দিয়ে বিনামুল্যের সদস্য থেকে প্রিমিয়াম সদস্যপদ নিতে পারেন। এরফলে নিষ্চিতভাবে বেশিসংখ্যায় বেশি টাকার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার সুযোগ পাবেন। সেইসাথে আপনার সদস্যের মাধ্যমে যারা সদস্য হবেন তাদের (ক্লিকসেন্সে ৮ লেভেল পর্যন্ত) তাদের টাকাও পাবেন। এই কাজগুলির সবকিছু করলে আপনার পক্ষে পিটিসি থেকে হাজার ডলার আয় সম্ভব।
আরেকটি সমস্যার কথাও মাথায় রাখা ভাল। অনেক পিটিসি সাইট অত্যন্ত মনোলোভা বিজ্ঞাপন দেয়, কাজ করলে আপনার একাউন্টে টাকা জমেছে সেটা দেখা যায় কিন্তু সেই টাকা পাওয়া যায় না। কাজেই কারো সদস্য হওয়ার আগে আপনার জেনে নেয়া প্রয়োজন সেই সাইট নির্ভরযোগ্য নাকি ভুয়া।
আরেকটি বড় সমস্যা, বাংলাদেশে পেপলের মাধ্যমে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা না থাকা। অনেক পিটিসি সাইট কেবলমাত্র পেপলের মাধ্যমে টাকা দেয়। শুধুমাত্র একারনেই আপনি অনেক পিটিসি সাইট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন না।
কাজেই আপনি বলতে পারেন পিটিসি ব্যবহার করে ইন্টারনেটে আয় অত্যন্ত সহজ আবার অত্যন্ত কঠিন।

ফ্রিল্যান্সিং : সহজ এবং কঠিন
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন কাজ নিয়ে করে দেয়া। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ নেবেন এবং সেই অনুসারে টাকা পাবেন। যেমন ডাটা এন্ট্রি করলে পাবেন কম টাকা, গ্রাফিক ডিজাইন, ফ্লাশ এনিমেশন ইত্যাদি করলে পাবেন বেশি টাকা, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগামিং কাজে আরো বেশি টাকা।
একেবারে সহজ কাজ নিয়ে আরোচনা করা যাক। আপনি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার করতে জানলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। সে হিসেবে কাজ সহজ। যেহেতু ডলারে হিসেব করা হয়, ঘন্টাপ্রতি ৪ ডলার আয় করলে দিনে ৫ ঘন্টা হিসেবে মাসে ৫০০ ডলার আয় করতে পারেন। কখনো কখনো আরো বেশি।
কঠিন কাজ হচ্ছে কাজ পাওয়া। সাধারন কাজ পাওয়া যায় ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে। ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্ক, স্ক্রিপ্টল্যান্স, গুরু ইত্যাদি সাইটে বিনামুল্যে সদস্য হওয়া যায়। তাদের সাইটে কাজের বর্ননা দেয়া আছে। আপনি সেটা দেখে কত টাকায় কাজ করতে চান জানাবেন। যার কাজ তিনি আপনার যোগ্যতা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হবেন আপনি সেটা সময়মত করে দিতে পারবেন। তিনি অনুমতি দিলে আপনি কাজ করে পাঠিয়ে দেবেন, কাজের টাকা ফ্রিল্যান্সিং সাইটে জমা হবে। আপনি সেখান থেকে উঠিয়ে নিতে পারবেন।
অনেকের জন্যই সমস্যা হচ্ছে কাজের জন্য যোগাযোগ করা। এজন্য দক্ষতা প্রয়োজন। কোন কাজ কত টাকায় করবেন সেটা ঠিক করা, তাদের সাথে যোগাযোগের সময় ঠিকভাবে নিজের দক্ষতা জানানো ইত্যাদির জন্য যথেষ্ট ধৈর্য্য প্রয়োজন। বিশেষ করে নতুন অবস্থায় যখন আপনার নামের পাশে অভিজ্ঞতা লেখা নেই। কিছু কাজ ঠিকভাবে করার পর সেগুলি আপনার পরিচিতির সাথে থাকে বলে পরবর্তীতে কাজ পাওয়া সহজ হয়।
কাজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ তুলনামুলক সহজ। দিনে কিছু সময় ব্যয় করে আপনি যথেষ্ট পরিমান টাকা উপার্জন করতে পারেন। কিন্তু যোগাযোগের কাজটি অনেকটাই কঠিন। এজন্য সঠিক পদ্ধতি জানা, সবসময় লেগে থাকা, যোগাযোগ করার মত ইংরেজি জানা ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।

ইন্টারনেট থেকে আয়কে সহজ বলতেই পারেন। কিন্তু যখন ভাল ফল আশা করবেন কিংবা চাকরীর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করবেন তখন দিনের কিছু সময় ব্যয় করা যথেষ্ট না। বাস্তবতা হচ্ছে ইন্টারনেটে আয়ের জন্য চাকরীর থেকেও বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। দিনে-রাতে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়।
আর ফল ?
আপনি হয়ত লক্ষ টাকা বেতনের চাকরী আশা করতে পারেন না। ইন্টারনেটে কাজ করে লক্ষ টাকা আয় করা খুবই সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়


ব্লগিং এবং ইন্টারনেট


ওয়ার্ডপ্রেসে বিনামুল্যের ব্লগ তৈরী
কিভাবে ইমেইল একাউন্ট তৈরী করবেন
 ব্লগার বনাম ওয়ার্ডপ্রেস
ওয়ার্ডপ্রেসে বাংলা ব্যবহার
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, এসইও
বিনামুল্যের ওয়েব হোষ্টিং
ব্লগিং থেকে আয়ের মুলমন্ত্র
ফ্রিল্যান্স রাইটারদের সেরা ১০ ব্লগ
ব্লগ লিখুন হলিউড ষ্টাইলে
ব্লগারে কাষ্টম থিম ব্যবহার
ভাল ব্লগার হওয়ার ৭ উপায়
ভাল ব্লগার বনাম ভাল ভিজিটর
কেন নিজস্ব ব্লগ তৈরী করবেন
বিনামুল্যের ব্লগিং এর জন্য উইবলি
ব্লগারে বাংলা ব্লগ তৈরী
বেশি ভিজিটর পাওয়া এবং ভিজিটর ধরে রাখার উপায়
এডসেন্স ব্যবহার করতে চান ? গুগলের গাইডলাইন মেনে চলুন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সময় যে নিয়ম মেনে চলবেন
ব্লগার ব্লগকে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্যবহার 
ফ্রিল্যান্সারের সাধারন কিছু নিয়ম 
ব্লগ টাইটেলের ৫ খারাপ উদাহরন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সাবমিট-ষ্টার্ট ব্যবহার করুন
টাকা আয় করুন আমাজন থেকে
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অটো রেসপন্ডার ব্যবহার
এফিলিয়েট মাকেটিং এর জন্য লিংকশেয়ার 
এফিলিয়েট মার্কেটি সাফল্যের ৫ সুত্র
পেইড ব্লগ রিভিউ এর ভাল-মন্দ 
গুগলের নিষেধাজ্ঞা এড়াবেন কিভাবে  
যে ১০ কারনে গুগলে সাইট র‌্যাংকিং বাড়ানো হয় 
প্রচারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
ওয়েব ডিজাইনের মুলনীতি ঠিক রাখুন 

No comments:

Post a Comment