Wednesday, November 9, 2011

ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টের মতপার্থক্য যখন সমস্যা

একজন ফ্রিল্যান্সার কখনো চান না ক্লায়েন্টের সাথে তার মতপার্থক্য হোক। ক্লায়েন্ট কোন কাজ যেভাবে চান ঠিক সেভাবেই তিনি করে দিতে আগ্রহি। বাস্তবতা হচ্ছে, সবসময় সেটা সম্ভব হয় না। ক্লায়েন্টের সাথে মতপার্থক্য তৈরী হওয়ার কারন এবং তখন করনীয় বিষয় নিয়ে এই পোষ্ট।
.          ফ্রিল্যান্সার নিজেই যখন সমস্যা
যে সমস্যার জন্য মুলত ফ্রিল্যান্সার দায়ী সেটাই শুরুতে উল্লেখ করা যাক।  ফ্রিল্যান্সারের অপেশাদারী মনোভাব কিংবা কাজে অদক্ষতা মতপার্থক্য তৈরী করতে পারে। তিনি যেভাবে শিক্ষালাভ করেছেন সেটা হয়ত যথেষ্ট না, যে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠেছে সেটা অন্যের মত গ্রহন করার মত না। একাধিক লেখায় এই বিষয়টি এমনভাবে বলা হয়েছে যা অনেকের মনে আঘাত দিতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ পরিস্থিতির শিকার। তাদের সামনে যোগ্য নেতৃত্ব নেই, বাস্তবতা শেখানোর মত শিক্ষাব্যবস্থা নেই, এমনকি যোগ্য শিক্ষক নেই। সারা বিশ্ব বাংলাদেশের নাম বলার সময় উল্লেখ করে বিশ্বের সবচেয়ে দরীদ্র দেশ হিসেবে অথচ প্রতিমুহুর্তে শোনানো হচ্ছে এদেশ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। যে দেশে বিদ্যুতের নিশ্চয়তা নেই, ইন্টারনেট সোনার হরিন, অনলাইন লেনদেনের ব্যবস্থা করা হবে না, ব্যাংক এবং সুদখোর মহাজনে পার্থক্য নেই, বাংলাদেশ এবং দুর্নীতি সমার্থক শব্দ সেই সমাজে প্রতিনিয়ত আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ধনী হওয়ার কথা প্রচার করলে মানুষ ধরে নেয় আউটসোর্সিং এমনকিছু যেখানে হাত দিলেই ধনী হওয়া যায়। বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিস্ঠানগুলি এমনভাবে মগজধোলাই করে যে শিক্ষার্থী মনে করে তারা কেমব্রিজ-হার্বার্ডের শিক্ষা লাভ করছে। এই মানষিকতা বাস্তব কাজে বাধা হয়ে দাড়ায়।
আপনি সমাজ পরিবর্তণ করতে পারেন না, নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেন। আপনার জন্য এধরনের সমস্যা তৈরী হলে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি যে কাজ করছেন সেই কাজের পদ্ধতি কি ঠিক আছে ? ইংরেজিতে ব্যাক টু বেসিক বলে একটি প্রবাদ আছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এটা প্রয়োগযোগ্য। আপনি নিজেকে যতটা দক্ষ বলে দাবী করছেন আসলেই কি আপনি ততটা দক্ষ ? অন্য যারা কাজ করছে আপনার কাজ কি তাদের থেকে ভাল ?
এই উত্তরের ওপর নির্ভর করছে আপনার সফলতা। যদি কাউকে দায়ী করতেই হয় সমাজকে দায়ী করুন, নেতৃত্বকে দায়ী করুন, তবে অন্যের দোষ ধরে থেমে থাকবেন না। নিজের ত্রুটিগুলি সমাধান করুন। দক্ষতা বাড়ান। সার্টিফিকেট লাভ করা এবং বাস্তব কাজ শেখা দুইয়ের পার্থক্য জানুন। কেউ আপনাকে প্রশ্ন করতে যাচ্ছে না আপনি কতদুর পড়াশোনা করেছেন। বরং উদাহরন হিসেবে নিজেকে বলুন, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ফেসবুকের জুকারবার্গ এরা পড়াশোনা ছেড়ে কাজ শুরু করে বিশ্বসেরা হয়েছেন। আপনি পড়াশোনা শেষ করার পরও পারবেন না কেন ?
.          ক্লায়েন্ট যখন সমস্যা
ক্লায়েন্ট সবসময় পেশাদারীত্বের পরিচয় দেবে এটা ধরে নেবেন না। তাদের মধ্যেও সত্যিকারের শিক্ষার অভাব থাকতে পারে, ভুল দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার সময় অনেক ক্লায়েন্ট পাবেন যারা নিজেকে সবজান্তা মনে করেন। সেক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব সত্যিকারের টেকনিক্যাল বিষয় জানানো, যদি তার জানার আগ্রহ থাকে। যদি না থাকে এবং তিনি এমন কিছু চান যা আপনার হিসেবে গ্রহনযোগ্য না তাহলে তার কাজ ছেড়ে দিন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের সবচেয়ে বড় সুবিধে এটাই, ইচ্ছে করলেই একজন ছেড়ে আরেকজনের কাজ করতে পারেন।
তবে ছেড়ে দেয়ার আগে শেষ চেষ্টা করে নিন। অনেক ক্লায়েন্ট মনে করেন তিনি টাকা দিচ্ছেন কাজেই তার যা মনে হয় সেটাই চাইতে পারেন, যা খুশি বলতে পারেন। এধরনের মনোভাব সহ্য করা কষ্টকর। অন্যঅর্থে কথাটা তো ঠিকই, আপনার টাকা প্রয়োজন বলেই তো কাজ করছেন। তার টাকা যখন গ্রহন করছেন তখন যতটা সম্ভব তার মত গ্রহন করতে চেষ্টা করুন।
.          কাজ যখন সমস্যা
ক্লায়েন্টের সাথে মতপার্থক্যের সবচেয়ে বড় এবং স্বাভাবিক কারন কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না থাকা।  তিনি ঠিক কি চান সেটা যদি স্পষ্ট করে না বলেন কিংবা ফ্রিল্যান্সার যদি সেটা আগেই জেনে না নেন তাহলে মতপার্থক্য এবং সময় নষ্ট দুইই হতে পারে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরন হিসেবে দেখুন। ক্লায়েন্ট বলেছেন তিনি লোগোতে একটা চড়ুই পাখির ছবি চান। আপনি কয়েক ঘন্টা ব্যয় করে একটা উড়ন্ত পাখি তৈরীর পর তিনি সেটা দেখে বললেন তিনি বসে থাকা পাখির ছবি চান। অথচ এই বিষয়টি আগেই ঠিক করে নেয়া যেত।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে মক-আপ একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় যা এধরনের সমস্যা এড়াতে পারে। আপনি যা করতে চান তার নমুনা তৈরী করে ক্লায়েন্টকে দেখান। গ্রাফিক ডিজাইন হোক, ওয়েবসাইট তৈরী হোক, এনিমেশন হোক অথবা লেখার কাজই হোক, কিছুটা নমুনা দেখিয়ে তার মত নিন। এতে একদিকে তিনি খুশি হবেন অন্যদিকে আপনার কাজ অনেক সহজ হবে।

এখানে মোটাদাগে মতপার্থক্যের বিষয়টি উল্লেখ করা হল। বাস্তবে মানুষ যেমন বিচিত্র সমস্যার ধরনও তেমনি বিচিত্র। এমন অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন যা অন্য কেউ হয়নি। সেক্ষেত্রে আপনার নিজেকেই সমাধান খুজে পেতে হবে।
এককথায় সমাধান, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করুন। তাতেও কাজ না হলে অন্য কাজে হাত দিন।


ফ্রিল্যান্সিং এবং ইন্টারনেটে আয়


ব্লগিং এবং ইন্টারনেট


ওয়ার্ডপ্রেসে বিনামুল্যের ব্লগ তৈরী
কিভাবে ইমেইল একাউন্ট তৈরী করবেন
 ব্লগার বনাম ওয়ার্ডপ্রেস
ওয়ার্ডপ্রেসে বাংলা ব্যবহার
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, এসইও
বিনামুল্যের ওয়েব হোষ্টিং
ব্লগিং থেকে আয়ের মুলমন্ত্র
ফ্রিল্যান্স রাইটারদের সেরা ১০ ব্লগ
ব্লগ লিখুন হলিউড ষ্টাইলে
ব্লগারে কাষ্টম থিম ব্যবহার
ভাল ব্লগার হওয়ার ৭ উপায়
ভাল ব্লগার বনাম ভাল ভিজিটর
কেন নিজস্ব ব্লগ তৈরী করবেন
বিনামুল্যের ব্লগিং এর জন্য উইবলি
ব্লগারে বাংলা ব্লগ তৈরী
বেশি ভিজিটর পাওয়া এবং ভিজিটর ধরে রাখার উপায়
এডসেন্স ব্যবহার করতে চান ? গুগলের গাইডলাইন মেনে চলুন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সময় যে নিয়ম মেনে চলবেন
ব্লগার ব্লগকে ওয়ার্ডপ্রেসে ব্যবহার 
ফ্রিল্যান্সারের সাধারন কিছু নিয়ম 
ব্লগ টাইটেলের ৫ খারাপ উদাহরন
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য সাবমিট-ষ্টার্ট ব্যবহার করুন
টাকা আয় করুন আমাজন থেকে
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অটো রেসপন্ডার ব্যবহার
এফিলিয়েট মাকেটিং এর জন্য লিংকশেয়ার 
এফিলিয়েট মার্কেটি সাফল্যের ৫ সুত্র
পেইড ব্লগ রিভিউ এর ভাল-মন্দ 
গুগলের নিষেধাজ্ঞা এড়াবেন কিভাবে  
যে ১০ কারনে গুগলে সাইট র‌্যাংকিং বাড়ানো হয় 
প্রচারের জন্য সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
ওয়েব ডিজাইনের মুলনীতি ঠিক রাখুন 

No comments:

Post a Comment